সাইফের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি নন, দাবি আইনজীবীর
সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁর হামলাকারীকে শনাক্ত করে ভারতীয় পুলিশ। পরে মুম্বাই পুলিশ দাবি করেন, হামলাকারী ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক এবং অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তবে হামলাকারী ব্যক্তির আইনজীবী সন্দীপ শিখান সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই যে তিনি বাংলাদেশি।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আইনজীবী সন্দীপ শিখানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি (মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ) ছয় মাস আগে মুম্বাইতে এসেছেন বলে পুলিশ যে দাবি করেছে, সেটি সঠিক নয়। মুম্বাই পুলিশের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং তিনি এখানে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে আছেন।
অভিযুক্তের আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি বলেছেন, পুলিশ যে কারণ দেখিয়ে তাকে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল, তা যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনে আমরা বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করা হয়নি। এছাড়া পুলিশ তাকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রমাণ করার জন্য কোনো নথি বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এদিকে, সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেছেন, অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো ধারণা ছিল না যে তিনি সাইফ আলী খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন।
এর আগে মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা। আটক করার আগে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার নিজ গ্রামে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
জানা গেছে, সাইফ আলী খানের বাড়ির এক গৃহকর্মীর পরিচিত ওই অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে গোপনে ওই বাড়িতে ঢোকেন। রাত আড়াইটার দিকে গৃহকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার শব্দ শুনতে পান সাইফ। এরপর সেখানে তিনি গেলে তার সঙ্গে ওই দুষ্কৃতকারীর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারী সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করেন।