বন্দি তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিল হামাস
যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় বন্দি তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গাজা সিটির বন্দরে বন্দিদের রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খবর আলজাজিরার।
ভূমধ্যসাগরের তীরে শত শত মুখোশধারী ফিলিস্তিনি সেনাদের উপস্থিতিতে প্রথমে ইয়ার্ডেন বিবাস ও অফের কালদেরনকে (ফ্রান্সের নাগরিকত্বও রয়েছে তার) মুক্তি দেওয়া হয়। এর প্রায় ঘণ্টা খানেক পর আরেক বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। তিনি হলেন- কিথ সিগেল (মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে তার)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী অস্ত্রসজ্জিত বিপুল সংখ্যক যোদ্ধাদের বিশ্বকে শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দিয়েছে হামাস।
এদিকে তিন বন্দির বিপরীতে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এছাড়া মিসরের সঙ্গে গাজার রাফা ক্রসিং (সীমান্ত পথ) খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিজ অর্গানাইজেশনের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক গেরশন বাসকিন আল জাজিরাকে জানিয়েছন বন্দিরা বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়বে।
বাসকিন বলেন, নেতানিয়াহু সরকারের ওপর এই চুক্তিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হবে। কারণ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বাসকিন আরও বলেন, মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা। আমরা আশা করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দির বিনিময়ে এক হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্রথম বন্দি বিনিময়ে তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নারীর বিপরীতে ৯০ জন ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে মুক্তি দেয় ইসায়েল। দ্বিতীয় বিনিময়ে চার সামরিক সদস্যের বিপরীতে ২০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তৃতীয় বন্দি বিনিময়ে থাইল্যান্ডের পাঁচজন ও তিন ইসরায়েলিসহ মোট আটজনকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পায় ১১০ জন ফিলিস্তিনি। আজ চতুর্থ বন্দি বিনিময় চলমান রয়েছে।