গাজায় কোনো মানবিক সাহায্যপণ্য ঢুকবে না : ইসরায়েল

ইসরায়েল বলেছে তারা গাজা উপত্যকায় কোনো ধরনের মানবিক সাহায্যপণ্য ঢুকতে দেবে না এবং এসব পণ্য প্রবেশে তারা বাধা দিতেই থাকবে। এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের বিরামহীন সামরিক আগ্রাসনের কারণে পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড এখন একটি ‘গণকবরে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। খবর এএফপির।
গত ১৮ মার্চ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে স্থল ও আকাশপথে আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এর আগে ২ মার্চ থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সাহায্যপণ্য প্রবেশে বাধা দিতে থাকে ইহুদি রাষ্ট্রটি। মানবিক সঙ্কট তৈরির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপর চলতে থাকে হামলা ও বোমাবর্ষণ, যার সর্বশেষ সংযোজনে আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) হত্যা করা হয় ১১ জন ফিলিস্তিনিকে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, তার দেশ অবরুদ্ধ গাজায় ২৪ লাখ মানুষের জন্য কোনো ধরনের সাহায্যপণ্য পৌঁছাতে দেবে না। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের নীতি পরিষ্কার- গাজায় কোনো মানবিক সাহায্যপণ্য প্রবেশ করবে না আর তা করা হবে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা জন্যই। এই মুহূর্তে কেউ গাজায় মানবিক সহায়তাপণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে না এবং তা করার কোনো প্রস্তুতিও নেই।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সামরিক শক্তি প্রয়োগই গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মির মুক্তির একমাত্র পথ।
গতকাল মঙ্গলবার গাজার উত্তরে সৈন্যদের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস একের পর এক হামলায় জর্জরিত হবে। আমরা জোর দিচ্ছি সব বন্দিদের মুক্তির বিষয়টিতে, পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে আমাদের সামরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিষয়েও।’

এদিকে রামাল্লাহ ভিত্তিক ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেতানিয়াহুর গাজা সফরের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই উসকানিমূলক অনুপ্রবেশ জোর করে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত ও গণহত্যার মতো অপরাধের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অন্যদিকে, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার (এমএসএফ) বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযান এবং সাহায্যপণ্য পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার বিষয়টির কারণে ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সাহায্য করতে চাওয়া লোকজনের জন্য পুরো গাজা উপত্যকা একটি ‘গণকবরে’ পরিণত হয়েছে।