তিউনিসিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ৩৪ বছরের কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলী লারাইদকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। শুক্রবার (২ মে) সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লারাইদের বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদি যোদ্ধা পাঠানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। খবর এএফপির।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ৬৯ বছর বয়সী আলী লারাইদ। তিনি ইসলামপন্থী দল এননাহদার একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়ায় স্বল্প সময়ের জন্য এননাহদার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় ছিল।
লারাইদের আইনজীবী ওসামা বুথেলজা এএফপিকে জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠন এবং তিউনিসিয়ানদের ইরাক ও সিরিয়ার জিহাদি গোষ্ঠীতে যোগদানে সহায়তার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে আলী লারাইদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা এই মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। গত ১৮ এপ্রিল তিউনিসিয়ার প্রসিকিউটর অফিসে লেখা এক চিঠিতে লারাইদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি অপরাধী নই। আমি এই মামলার একজন ভুক্তভোগী।’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একই আদালত শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সাবেক সদস্য ফাতি আল-বালদি এবং আব্দুল করিম আল-আবিদিকে ২৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। রেডিও স্টেশন মোসাইকি একটি বিচারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই মামলায় মোট আটজন আসামিকে ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমালোচকদের লক্ষ্য করে চলমান মামলার ধারাবাহিকতায় এটি সর্বশেষ সংযোজন। সাম্প্রতিক একটি মামলায় প্রায় ৪০ জন আসামিকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ তিউনিসিয়ান ইসলামিক স্টেটসহ অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় যুদ্ধ করেছে।