ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এলাকায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১২ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এ সময় আরও ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। কিয়েভ এই ঘটনায় তাদের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছে। রোববার (১ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কোথায় হামলাটি হয়েছে তা জানায়নি, তবে জোর দিয়ে বলেছে—সৈন্যরা ‘জনসমাবেশ’-এ অংশ নিচ্ছিল না। আক্রমণের সময় বেশিরভাগই সৈন্য তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রশিক্ষণরত সৈন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তদন্তের জন্য চাপের সম্মুখীন হয়েছে। গত মাসে সীমান্তের কাছে প্রশিক্ষণরত ছয় সৈন্য রাশিয়ার হামলায় নিহত হয়েছিল, যাকে একজন ইউক্রেনীয় বিরোধী রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের ‘অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ রোববার শত্রুরা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ইউনিটের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবৃতিতে দৃঢ়ভাবে বলা হয়, ‘যদি এটি প্রমাণিত হয় যে, কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড বা নিষ্ক্রিয়তার কারণে সেনা সদস্যদের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তাহলে দায়ীদের কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’

রোববার পৃথকভাবে রাশিয়ান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের উত্তর সুমি অঞ্চলের আরেকটি গ্রাম দখল করেছে। কিয়েভ আশঙ্কা করছে, মস্কো এই অঞ্চলে নতুন করে স্থল আক্রমণ চালাতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বসতি দখল করেছে এবং সীমান্তের ওপারে ৫০ হাজারেরও বেশি সৈন্য জড়ো করেছে। তীব্র গোলাগুলোর মধ্যে এই অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ২০০টিরও বেশি গ্রাম খালি করেছে।