সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্য হলো বাসিন্দাদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো ও আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে পরিচিত করা। একইসঙ্গে নিরাপত্তার প্রথম ধাপ হিসেবে স্থানীয়দের গড়ে তোলা এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। খবর এনডিটিভির।
বিএসএফ কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গ্রাম প্রতিরক্ষা গার্ড (ভিডিজি) কর্মসূচির অধীনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষিত গ্রামবাসীরা অনুপ্রবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার করে চোরাচালান ও অবৈধ অস্ত্রের পাচার রোধে বিএসএফকে সহায়তা করতে পারবে।
বিএসএফ আশা করছে, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তারা আধা-সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে আরও সক্রিয় হবে। এই প্রশিক্ষণ অভিযান জাতীয় নিরাপত্তায় নাগরিক অংশগ্রহণের একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, গ্রামবাসীদের মৌলিক আগ্নেয়াস্ত্র দক্ষতা ও অন্যান্য আত্মরক্ষা কৌশল শেখানো হয়েছে যাতে তারা জরুরি পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে পারে এবং আতঙ্কিত না হয়। বিএসএফ পোস্টগুলিতে এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হচ্ছে। বর্তমান আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণে একে সিরিজ ও আইএনএসএএসের মতো অ্যাসল্ট রাইফেলগুলির সঙ্গে পরিচিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হ্যান্ড গ্রেনেড কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে প্রদর্শনী হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, বেসামরিক নাগরিকদের ড্রোন শনাক্ত করতে এবং সেগুলিকে ট্র্যাক করতে শেখানো হবে। রাতে টহল দেওয়া, নজরদারি হাঁটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং বিএসএফ চেকপোস্টগুলিতে তথ্য পাঠানো– এই কাজগুলো করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিএসএফ কিছু এলাকায় নারী ও কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণও দিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক সীমান্ত গ্রামে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।’
বিএসএফ কর্মকর্তারা বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রীর চোরাচালান বন্ধ করার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা রেখা হয়ে উঠতে পারে। এই উদ্যোগ ভারতের সীমান্ত সুরক্ষায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।