সম্প্রতি রুশ বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে এই কথা জানান তিনি। খবর এএফপির। 

দীর্ঘ ৭৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোস্যালের এক পোস্ট ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাটি ভালো ছিল, তবে এমন কথোপকথন হয়নি যা অবিলম্বে শান্তি আনতে পারে।’

রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার বিষয়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান সম্পর্কে আগে থেকে কোনো ধারণা ছিল না। পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এই বিষয়টি জোর দিয়ে বলেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প তার পোস্টে ইউক্রেনের হামলার জবাব দেওয়ার পুতিনের হুঁশিয়ারি নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী ছিল তা উল্লেখ করেননি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার বিষয়ে যে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন, তার কোনো প্রতিফলন এই কথোপকথনে দেখা যায়নি।

পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ একটি ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই নেতা কথোপকথনটিকে ‘ইতিবাচক ও বেশ ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছেন। আলোচনার মূল বিষয়গুলির মধ্যে একটি ছিল হামলা। আমি মনে করি, আমাদের সঙ্গে কী ঘটেছে তার মূল্যায়ন শোনাটা ট্রাম্পের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। 

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন স্তরে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এই আলোচনাগুলো একটি নির্ভরযোগ্য শান্তি বা এমনকি যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত, পুতিন দায়মুক্তির অনুভূতিতে ভুগছেন।’ 

পোস্টে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন এই ইউক্রেনের নেতা। 

এর আগে জেলেনস্কির শীর্ষ উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক ওয়াশিংটনে একটি ব্রিফিংয়ে বলেন, যুদ্ধ শেষ করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই রাশিয়ার।