এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
লন্ডনগামী ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পরপরই একটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন।
বিমানের আরোহী ছাড়াও আরও কতজন নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মৃতদের স্মরণে ভারত ও যুক্তরাজ্যজুড়ে প্রার্থনাসভা ও মোমবাতি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) এ দুর্ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তদন্তে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল।
শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এর পর ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু বলেছেন, “এটি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনবে।”
দুর্ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, উড্ডয়নের মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি উচ্চতা হারিয়ে বিজে মেডিকেল কলেজ ও সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়ে।
কলেজটির জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ধবল গামেটি শনিবার নিশ্চিত করে বলেছেন, হাসপাতালটি ২৭০ জন নিহতের মরদেহ পেয়েছে। এর মধ্যে ২৪১ জনই এআই১৭১ ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু।
ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ অনুসারে, দুর্ঘটনাকবলিত বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমানটি ১১ বছর পুরোনো এবং গত দুই বছরে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের মধ্যে ২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল এটি।
এই দুর্ঘটনার পর ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ সিরিজের সব বিমানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে, যা একটি “প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার প্রায় ২০ মিনিট ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং এরপর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “পুরো জাতি আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে।”
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসনও শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বলেন, “এই অভিজ্ঞতা ছিল গভীরভাবে আবেগঘন।”