দুই বছর মাটি খুঁড়ে হীরা পেলেন নারী

টানা দুই বছর সাধনার পর খুলেছে ভাগ্যের দুয়ার। রোদ-বৃষ্টি-ঘাম আর ময়লা-আবর্জনা মাড়িয়ে ২ দশমিক ৬৯ ক্যারেট হীরা তুলে এনেছেন এক নারী।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) ভারতের মধ্য প্রদেশের পান্না জেলার চোপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মধ্যবয়সী ওই নারী খনি শ্রমিকের নাম সাবিত্রী বাই সিসোদিয়া।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হীরার খোঁজে সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছিলেন ওই নারী। তার প্রবল আত্মবিশ্বাস ছিল একদিন না একদিন হীরার খোঁজ পাবেন।
হীরা পরীক্ষক অনুপম সিং বলেন, হীরাটি পান্না ডায়মন্ড অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নিলামের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিলামের প্রাপ্ত অর্থ থেকে সরকার নির্ধারিত রয়্যালটি ও কর কেটে রাখা হবে। বাকি অর্থ সাবিত্রী বাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
হীরাটির সম্ভাব্য মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিলামে এটি বিপুল দামে বিক্রি হতে পারে।
পান্না জেলায় প্রতি বছর সুলভ মূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি লিজ দেওয়া হয়। অসংখ্য মানুষ জমি লিজ নিয়ে হীরা খোঁজার কাজ করে থাকেন। তবে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই হীরা তুলে আনতে পারেন। হীরার তুলে আনার পর সরকারের ডায়মন্ড অফিসে জমা দেওয়া হয়। সেটা পর্যবেক্ষণ করে তোলা হয় নিলামে।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে দিলীপ মিস্ত্রি নামে এক খনি শ্রমিক ৭ দশমিক ৪৪ ক্যারেট হীরা তুলে এনেছিলেন। এটি ছিল তাঁর তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় সফলতা। একই বছরের জুলাইয়ে এক শ্রমিক ১৯ দশমিক ২২ ক্যারেট হীরা তুলে এনেছিলেন। হীরা খননের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠেছে ভারতের এই পান্না জেলা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাবিত্রী বাই বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছিলাম। এবার পেলাম। খুব ভালো লাগছে। শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তা আমার কথা শুনেছেন।’