গাজাগামী ‘সুমুদ ফ্লোটিলার’ জাহাজ আটকে দিল ইসরায়েল

অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাওয়া ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ দুই জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এক বিবৃতিতে বলা হয়, বহরের জাহাজগুলো অবৈধভাবে আটকানো হচ্ছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং (ইসরায়েলি) সেনারা জাহাজে উঠেছেন। জাহাজে থাকা মানবাধিকার কর্মীসহ অভিযানে অংশ নেওয়া সবাই নিরাপত্তা ও অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
নৌবহরে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ত্রাণবাহী নৌবহরের আলমা ও সাইরাস জাহাজ ইতোমধ্যে আটকে দেওয়া হয়েছে।
নৌবহরে থাকা বাংলাদশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা কনসায়েন্স জাহাজে আছি। এইমাত্র সংবাদ এলো, আলমা জাহাজে আক্রমণ হয়েছে। এর ক্ষাণিক পরে ওখানের সিগন্যাল থেমে যায়। এখন আমরা সাবাই জড়ো হয়েছি, সবাই উদ্বিগ্ন। এখানে বসে সবাই আমরা রিপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করছি। আলমা জাহাজটি বহরের শুরুর দিকে ছিল, আমরা শেশের দিকে। কাজেই আলমার ওপর যা হচ্ছে সেটা আমাদের ওপরেও হবে, সেটা অনুমান করা যায়।

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’ এর অভিযাত্রী হয়েছেন শহিদুল আলম। তার পরনে জুলাই শহীদ আবু সাঈদের ছবি খচিত পাঞ্জাবি ও হাতে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণবাহী নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি জাহাজ ও নৌযান। এ বহরে আইনজীবী, আইনপ্রণেতা, মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ প্রায় ৫০০ জন সদস্য রয়েছেন।