আদালতে নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে নারী নিয়ে অবস্থান, এপিপি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জে সরকারি ছুটির দিন এক নারীকে নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের (এপিপি) জন্য বরাদ্দ করা কক্ষে অবস্থান করার অভিযোগে এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে নেওয়া হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সদর উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ৫ নম্বর গোপায়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, গত শুক্রবার দুপুর ১টায় বোরকা পরা এক নারীকে নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় তলায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দ এপিপির কক্ষে দরজা বন্ধ করে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। বিষয়টি কোর্ট পুলিশের নজরে এলে ফোন করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করা হয়। তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হুদা চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আবুল কালাম ওই নারীকে রিকশায় তুলে পাঠিয়ে দেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং মোটরসাইকেলের করে দ্রুত চলে যান বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে আদালতপাড়াসহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সদর থানাকে অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাত ১০টায় ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদ শহরের মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে আবুল কালামকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে কোর্টে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আলী বাদী হয়ে এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
অ্যাডভোকেট আবুল কালাম গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।