১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ : এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ১১০২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ মোট ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (১৯ মে) দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তানজির আহমেদ বলেন, নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামের ঋণের ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এস আলমসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া অপর মামলায় একইভাবে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাব (ঋণ প্রস্তাব) শাখা হতে জোনাল অফিস ও পরে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ ও ঋণ অনুমোদন করে। একই প্রক্রিয়ায় সীমাতিরিক্ত ঋণ প্রদান এবং ঋণের নামে গৃহীত অর্থ পরবর্তীতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধের মাধ্যমে স্থানান্তর রূপান্তর হস্তান্তর করার দায়ে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধী।
প্রথম মামলার আসামিরা হলেন— (১) মোহাম্মদ সাইফুল আলম (৬৫), (২) মাহফুজুল ইসলাম (৫৪), (৩) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী (৬৩), (৪)আব্দুল কুদ্দুস (৭৫), (৫) এস এ এম সলিমুল্লাহ (৭৫), (৬)মহসিন উদ্দিন আহমেদ (৭৪), (৭) কাজী ওসমান আলী (৬৯), (৮) সৈয়দ হাবিব হাসনাত (৬২), (৯) আব্দুল আজিজ (৬৭), (১০) মোস্তফা খায়ের (৬২), (১১) জহুরুল হক (৭১) (১২) মাসুদুর রহমান শাহ্ (৬৫), (১৩) ইকরাম উল্লা (৭১), (১৪) সৈয়দ আনিছুর রহমান (৬৩), (১৫) ফয়েজ আহমেদ (৫৮), (১৬) এ কে এম আবু ছত্রীর চৌধুরী (৭০), (১৭) আলমগীর হোসেন (৬১), (১৮) এস এম আজহারুল ইসলাম (৬০), (১৯) ইফতেখার উদ্দিন (৬৫), (২০) কায়সার ইমতিয়াজ (৪৯), (২১) মাসুদ পারভেজ (৪৮), (২২) সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী (৫৮), (২৩) নাছিম গাওহার (৫৮), (২৪) আলী নাহিদ খান (৫৯), (২৫) কাজী লতিফুল ইসলাম (৭৫), (২৬) ওয়াহিদুর রহমান (৭২), (২৭) হাফিজুর রহমান (৬৪), (২৮) হেলাল উদ্দীন (৫৩), (২৯) জাবেদ মোরশেদ (৪৭), (৩০) আব্দুল্লাহ আল নোমান (৫২), (৩১) আমির হোসাইন (৪৬), (৩২) হারুনুর রশিদ (৫০), (৩৩) মোকতার হোসাইন (৫৩), (৩৪) মোশাররফ উদ্দীন (৫২), (৩৫) ফারজানা শাম্মি (৫০), (৩৬) আরিফুল হক চৌধুরী (৫৪), (৩৭) ফারহানা নিগার চেধুরী (৪৩)।
দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন— (১) মোহাম্মদ সাইফুল আলম (৬৫), (২) আলমগীর হুদা (৫১), (৩) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী (৬৩), (৪) জহুরুল হক (৭১), (৫) সৈয়দ হাবিব হাসনাত (৬২), (৬) আব্দুল আজিজ (৬৭), (৭) মোস্তফা খায়ের (৬২), (৮) কাজী ওসমান আলী (৬৯), (৯) মাসুদুর রহমান শাহ্ (৬৫), (১০) ইকরাম উল্লা (৭১), (১১) সৈয়দ আনিছুর রহমান (৬৩), (১২) ফয়েজ আহমেদ (৫৮), (১৩) এ কে এম আবু ছগীর চৌধুরী (৭০), (১৪) আলমগীর হোসেন (৬১), (১৫) এস এম আজহারুল ইসলাম (৬০), (১৬) ইফতেখার উদ্দিন (৬৫), (১৭) কায়সার ইমতিয়াজ (৪৯), (১৮) মাসুদ পারভেজ (৪৮), (১৯) সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী (৫৮), (২০) নাছিম গাওহার (৫৮), (২১) আলী নাহিদ খান (৫৯), (২২) ওয়াহিদুর রহমান (৭২), (২৩) হাফিজুর রহমান (৬৪), (২৪) জাবেদ মোরশেদ (৪৭), (২৫) হারুনুর রশিদ (৫০), (২৬) ফারজানা শাম্মি (৫০), (২৭) ফারহানা নিগার চৌধুরী (৪৩), (২৮) জোবাইর হোসেন (৪৭), (২৯) মোরশেদুল আলম (৫২), (৩০) সেলিম উল্লাহ (৪৪), (৩১) সৈয়দা নাজমা মালেক (৫১)।