এডিসি সাকলাইনের বাসায় পরী মণি, তদন্তে পুলিশের কমিটি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/08/pori_saklain.jpg)
বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েন বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা জানতে আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন সদেস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ শাখার এআইজি মো. সোহেল রানা এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোহেল রানা বলেন, ‘গোলাম সাকলায়েন এবং নায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করতে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং) মিয়া মাসুদ করিম। অন্য দুই সদস্য হলেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভীন ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রুমানা আক্তার।
মো. গোলাম সাকলায়েন ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের মতো অভিযোগ উঠার পর তাঁকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘যেহেতু পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের মতো একটি অভিযোগ এডিসি গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে এসেছে, সেহেতু ডিবি থেকে তাঁর সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন। তাঁর মুঠোফোনটিও ডিবির কাছে জমা রয়েছে।’
গত ১ আগস্ট রাতে পরী মণিকে নিয়ে এডিসি গোলাম সাকলায়েন তাঁর সরকারি ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই দিনের ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়েছে।
ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৮টার দিকে রাজারবাগের মধুমতি ভবনের সামনে থামে পরী মণির হ্যারিয়ার গাড়ি। ওই ভবনের দশম তলায় সাকলায়েনের সরকারি ফ্ল্যাট। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে পরী মণিকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরী মণির খালাতো বোন ও তাঁর স্বামী। পরে রাত ২টার দিকে পরী মণিসহ তিনজনই বের হয়ে যান বাসা থেকে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পরী মণির সঙ্গে এডিসি গোলাম সাকলায়েনের পরিচয় হয় গত জুন মাসে। ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরী মণি।
পরদিন উত্তরা থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই সময় পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। সাকলায়েন ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তা।