করোনাভাইরাস ঠেকাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে সতর্কতা, প্রস্তুত মেডিকেল টিম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। বর্তমানে টেকনাফ বন্দরে ২০টির মতো মিয়ানমারের ট্রলার নোঙর করা রয়েছে। এতে মিয়ানমারের আকিয়াবসহ বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক নাগরিক রয়েছেন। ট্রলারের এসব মাঝি-মাল্লা বন্দরের বাইরে যেতে পারবেন না। বন্দরের অভ্যন্তরেও তাঁদের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। একজন করে মেডিকেল অফিসার, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স ও কর্মীরা থাকবেন মেডিকেল টিমে। স্থলবন্দরে কোনো শ্রমিকের সর্দি-জ্বরসহ কোনো ধরনের সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে জানাতে বলা হয়েছে।
চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এরই মধ্যে ১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা গেলেও সে তালিকায় নেই মিয়ানমারের নাম। যদিও মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত আট হাজার জনে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে চীনের উহান শহর থেকে নিজ দেশের বাসিন্দাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বুধবার উহান থেকে জাপানে ফিরেছেন দেশটির ২০৬ জন নাগরিক। আরো ৬৫০ জনকে ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘যেসব অসি নাগরিক হুবেই প্রদেশ ছাড়তে আগ্রহী, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।’ স্কট মরিসন আরো বলেন, ‘হুবেই প্রদেশে থাকা আমাদের নাগরিকদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কথা ভেবে আমরা আগ্রহীদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে শুরুতে হুবেই থেকে ক্রিসমাস দ্বীপে এনে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালানো হবে। সেখানে আমাদের বিশেষ একটি মেডিকেল টিম এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে, শ্রীলঙ্কায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরপরই চীনা নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া চীনের সঙ্গে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু না ঘটলেও বিশ্বের প্রায় ১৭টি দেশে এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেছে ভাইরাসটি।