খুলনায় করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৪১ ভাগ

করোনাভাইরাসে খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় করোনা ডেডিকেটেড তিন হাসপাতাল- খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। আজ বুধবার সকালে সরকারিভাবে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একই সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৩৯ ভাগ। এর মধ্যে খুলনা ও আশপাশের জেলার নমুনা রয়েছে। শুধু খুলনা জেলার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮৪ জন শনাক্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে শনাক্তের হার ৪১ শতাংশ।
কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনা সংক্রমণ রোধে খুলনাজুড়ে কঠোর লকডাউনের আজ বুধবার দ্বিতীয় দিন চলছে। এর মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ব্যাংক, সরকারি অফিস খোলা থাকায় কর্মীদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেডেট ইউনিটের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ছয়জন মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে খুলনার তিনজন, যশোরের একজন, নড়াইলের একজন ও বাগেরহাটের একজন।
তারা হলো খুলনার মো. সোহরাব (৬৮), সামছুল আলম (৫৮) এবং আনোয়ারা (৫৮), বাগেরহাটের রামপালের আফজাল শেখ (৬১), নড়াইলের নির্মলকান্তি সাহা (৭৯), যশোরে ভানু বেগম (৬০)। সবাই করোনা পজিটিভ ছিলেন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, সেখানে ছয়জন মারা গেছেন। তারা হলো খুলনার মনিরুল ইসলাম (৬২), জালাল আহমেদ খান (৬৫), মাসুদুল হক (৮৫), মাহাবুবুর রহমান (৯৫), যশোরের মণিরামপুরের জাকির হোসেন (৩৮), বাগেরহাটের জোৎস্না রানী দাশ (৫৬)।
খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. এ রশিদ জানান, সেখানে একজন মারা গেছেন। তিনি হলেন খুলনার হোসনে আরা বেগম (৬০)। এ ছাড়া এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।