খুলনায় গুলিবিদ্ধের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪

খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী এলাকায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া রাতভর টানটান উত্তেজনার মধ্যে রাতে জিহাদ শেখ নামের এক যুবককে প্রতিপক্ষ গণপিটুনি দেয়। জিহাদ শেখ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে মারা যান।
এর আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিহত হন নজরুল ফকির ও রসুল ফকির নামের দুজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী কমিশনার কানাই লাল সরকার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও পাটকল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া, তাঁর ভাই জাফরিন ও মিল্টনের সঙ্গে স্থানীয় ফকির বংশের সমর্থকদের বিরোধ রয়েছে। তিন ভাই মৃত হাসান প্রফেসরের ছেলে। মসজিদ কমিটি নিয়ে তিন ভাইয়ের সঙ্গে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
আহতরা বলেন, গতকাল বিকেলে বাড়ির পাশে গুলি রেখে মুজিবর শেখ নামের একজনকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন জাকারিয়া ও জাফরিন। এর জের ধরে গতকাল বিকেলে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
রাত ৯টার দিকে ফকির বংশের সমর্থকরা লোকজন নিয়ে ওই তিন ভাইয়ের বাসভবনে হামলা চালায়। ওই সময় বাড়ি থেকে অনবরত গুলি করলে কয়েকজন আহত হন। আহত অবস্থায় নজরুল ফকির ও রসুল ফকির নামের দুজনকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ জানান, এলাকার মৃত হাসান প্রফেসরের ছেলেদের সঙ্গে মসজিদ কমিটি নিয়ে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিকে, রাতেই খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল সোহাগ ই-মেইল বার্তায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মশিয়ালীর ঘটনায় গুলি করার দায়ে জাকারিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’