খুলনায় সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলমের বাবার ইন্তেকাল

খুলনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ইউএনবির খুলনা ব্যুরো প্রধান শেখ দিদারুল আলমের বাবা সাবেক খাদ্য পরিদর্শক, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শেখ আব্দুল জলিল (৮৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে শেখ আব্দুল জলিল স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের প্রথম জানাজা গতকাল বাদ এশা প্রান্তিকা বায়তুল ঈমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর মরদেহ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাগদাদীয়া রহমানিয়া দারুল কুরআন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় জানাজা হয়। এরপর মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক নেতা শেখ দিদারুল আলমের বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাসভবনে যান খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, মহানগর বিএপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
এ সময় শেখ আব্দুল জলিলের শোকাহত পরিবারের খোঁজ খবর নেন জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুন, খুলনার সাবেক জেলা প্রশাসক ফিরোজ আলম, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মাঈনুল ইসলাম।
সাহিত্যিক শেখ আব্দুল জলিল ১৯৩৭ সালের ৩০ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি খাদ্য বিভাগে সহকারী উপপরিদর্শক পদে চাকরিতে যোগ দেন। প্রায় ৩৯ বছর চাকরি করে ১৯৯৫ সালের ২৩ জুলাই অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর শেখ আব্দুল জলিল ইসলামীসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় যেমন কাজ করে গেছেন। আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে যখন অপসংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলেছে তখন শেখ আব্দুল জলিলের ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন রচনা কিছুটা হলেও অপসংস্কৃতি রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলমের বাবা শেখ আব্দুল জলিলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ খুলনা প্রেসক্লাব, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নসহ (এমইউজে) বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।