গাড়ি আমদানিকারকদের আস্থা এখন মোংলা বন্দরে : বারভিডা সভাপতি
বারভিডা সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেছেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এখন আর গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে না। ফলে আমদানি করা গাড়ির প্রায় ৮০ ভাগই এখন মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় মোংলা বন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বারভিডার মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসাসহ বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বারভিডার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রিকনডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যাগুলো নিয়ে যৌথ আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে প্রথম মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানির কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বাড়তেই থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরগুলোর সব রেকর্ড ভেঙে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮০টি গাড়ি আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি করা গাড়ির শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব মোংলা বন্দরের। তাই কারও কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে আমাকে সরাসরি লিখিতভাবে জানালে সঙ্গে সঙ্গেই তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমদানিকারকদের বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, বন্দর থেকে আমদানি করা গাড়ি স্বল্প সময়ের মধ্যে খালাসকরণ, আমদানি করা গাড়ি রাখার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড নির্মাণ, আমদানি করা গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহল ও সিসি ক্যামেরা মনিটরিং ব্যবস্থার কারণেই আমদানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহার করছেন। গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর এখন মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় যেকোনো পণ্য পরিবহণে সময় লাগছে মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার, সেখানে ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। ফলে তুলনামূলক একটি গাড়ি বন্দর থেকে খালাসের পর খুবই কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে বিধায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।