ঘোরাফেরা করায় ইতালি প্রবাসীকে জরিমানা

ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার নিরিবিলি হাউজিং এলাকায় ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ না মেনে অবাধে ঘুরে বেড়ানোর অপরাধে এক ইতালিফেরত প্রবাসীকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তৃতীয় দিনের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সোমবার আলী নেওয়াজ নামের এই ইতালিফেরত প্রবাসীকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কোয়ারেন্টিন না মেনে সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়ায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা প্রবাসীরা। তাদের অসচেতন আচরণে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
প্রশাসন বলছে, প্রবাসীদের সামলাতেই তাদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। কোয়ারেন্টিন না মেনে কেউ বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, কেউ বা পাড়ার দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন, আবার ঘুরে বেড়াচ্ছেন শ্বশুরবাড়িতে।
আশুলিয়া থানার নিরিবিলি হাউজিং এলাকায় কোয়ারেন্টিন না মেনে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন আলী নেওয়াজ। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমান জুমনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে জরিমানা আদায় করে সতর্ক করে আসে।
এর আগে গত রোববার সাভারে সাধাপুরে দুবাইফেরত মামুন কায়সার নামের এক প্রবাসীকে একই আদালত জরিমানা করেন ২০ হাজার টাকা। তার আগের দিন দুই প্রবাসীর বিয়ের আয়োজন ভেঙ্গে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, প্রবাসীরা যা করছেন তা দুঃখজনক। নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টিনে না থেকে তারা অন্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ধামরাই থেকে আসা এক রোগীকে ভর্তি না করে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
সোমবার দুপুরে সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ধামরাই থেকে আসেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক রোগী। পরে তাঁকে করোনা রোগী সন্দেহে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সাভারে প্রবাস থেকে আসা ৬১ জনকে এখনো কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা।