চাকরির প্রলোভনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিক্রিচেষ্টার সময় গ্রেপ্তার ২

ভালো চাকরির আশায় বন্ধুদের কথায় মোংলায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৯)। টানা পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। পরে পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টাকালে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় দুই যুবককে।
গতকাল বুধবার রাতে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলার পর আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুমন শরিফ (২৫) ও মেহেদী হাসান (৩০)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম ইপিজেডে চাকরির সুবাদে খাগড়াছড়ির মহলছড়ি এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মোংলার শেহলাবুনিয়ার সুমন শরিফ ও মেহেদী হাসানের। পরিচয় ও বন্ধুত্বের কারণে তাদের ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সুমন ও মেহেদী ওই তরুণীকে ঝিনাইদহ সদরে নিয়ে যান। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে তিন দিন থাকার পর গত মঙ্গলবার তরুণীকে মোংলার শেলাবুনিয়ায় মেহেদী হাসানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুদিন থাকেন। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে ওই তরুণীকে ট্রলারে বানিশান্তা যৌনপল্লিতে পাচারের চেষ্টাকালে খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সুমন শরিফ ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মণ্ডল বলেন, ‘ভিকটিম তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার পর আদালতের নিরাপত্তা হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।’