চিকিৎসক নেতার চেম্বারে মিলল ইয়াবা-গাঁজা

খুলনায় ‘হেলথ গার্ডেন’ নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসকের চেম্বার থেকে ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিও পাওয়া গেছে। ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. সুমন রায়ের কক্ষ (চেম্বার) থেকে সেগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আসাদুজ্জামান হিরা ও অথৈ নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
যৌথভাবে অভিযানটি পরিচালনা করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ডা. সুমন রায়ের কক্ষটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডা. সুমন রায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বিএমএ কেন্দ্রীয় শাখার কাউন্সিলর। ওই ক্লিনিকের মালিকানার একটি অংশ তাঁর রয়েছে বলে জানা গেছে।
খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. বাহারুল আলম ডা. সুমন রায় বিএমএ খুলনার প্রচার সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর। তিনি বলেন, ‘সুমন রায়ের কক্ষ থেকে ইয়াবা ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। সেখানে বিদেশি মদের বোতল, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের উপকরণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হবে।’
হেলথ গার্ডেন ক্লিনিকে ডা. সুমন রায়ের মালিকানার কোনো অংশীদারত্ব নেই বলে জানান ক্লিনিকের মালিক খন্দকার আহসান উল্লাহ। তিনি দাবি করেন, সুমন রায়কে ক্লিনিকের কাজের অংশীদারত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ক্লিনিকে তাঁর নিজস্ব চেম্বার থেকেই ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তাঁকে আর ক্লিনিকে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। যে দুজনকে আটক করা হয়েছে তাঁরা হাসপাতালের কোনো স্টাফ নয়, তাঁরা সুমন রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডা. সুমন রায় বলেন, ‘আমি দুপুরের দিকে ডুমুরিয়া উপজেলায় নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়েছিলাম। বিকেলের দিকে হঠাৎ শুনি আমার কক্ষে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। যে দুজনকে আটক করা হয়েছে তাদের কাছেই কক্ষের চাবি ছিল। তারাই কিছু করেছে।’