ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রদল গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিতি পায় এ সংগঠন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যো দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায়, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ কার্যালয়সহ দেশের সব জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এরপর ১০টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১২টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে দিনব্যাপী চলবে ছাত্র সমাবেশ।
দ্বিতীয় দিন আগামীকাল রোববার, ছাত্রদলের প্রত্যেকটি জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ছাত্র সমাবেশের আয়োজনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ঘোষিত প্রত্যেকটি কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্রদলকে অন্যতম প্রধান শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে বিএনপি। এ লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় হাইকমান্ড। সে অনুযায়ী দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে নির্বাচিত করা হয়। ওই বছর ২১ ডিসেম্বর সংগঠনের ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন নেতারা।
কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পরপরই সারা দেশে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রকৃত ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের জন্য দশটি বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেন তারেক রহমান। এসব টিমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তিনি নির্দেশনা, পরামর্শ দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করতে চেয়েছেন। কিন্তু, দলের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার সুযোগকে অনেকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন অনৈতিক কার্যক্রমেও। দলের নির্দেশনা অমান্য করে বিবাহিত, অছাত্র, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, নিষ্ক্রিয় নেতাদের পদায়নসহ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন কিছু নেতা। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সুপার ফাইভ নেতাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ উঠেছে। অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে সংগঠনটি।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, নতুন বছরে নতুন উদ্যমে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে তাদের সংগঠন। সে লক্ষ্যে সারা দেশে সংগঠনকে পুরো ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম অনেকটাই শেষ করা হয়েছে। বেশিরভাগ উপজেলায় কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাকি কাজগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।