ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ‘শিশুবক্তাকে’, ভিপি নুরকে খুঁজছে পুলিশ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং এ ঘটনায় সংঘর্ষের জেরে পুলিশ ৩৩ জনকে আটক করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আটকদের মধ্যে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিও ছিলেন। পরে বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অবৈধ সমাবেশ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা মোট ৩৩ জনকে আটক করেছিলাম। তাদের মধ্যে শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩২ জন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের লোকজন বিক্ষোভ বা সমাবেশ করার আগে ডিএমপি থেকে অনুমতি নেয়নি। ফলে আমরা বাধা দিলাম। বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে তারা। এতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ভিপি নুরকে খুঁজছি।’

পুলিশের এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে নুরুল হক নুরের মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি। পরে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁর পক্ষ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। সব বিষয়ে কথা বলব পরে। আসলে আমি এখন খুবই টায়ার্ড। রৌদ্রের মধ্যে অনেকক্ষণ ইয়ে (বিক্ষোভ) করছি। ভেতরে ছিলাম কিছুক্ষণ। আল্লাহপাকের মেহেরবাণী, যা হয় আল্লাহপাকের পক্ষ থেকেই হয়।’
দুপুরের দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। ওই মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। সেখানে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানিও ছিলেন।
নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বয়সে যুবক হলেও শারীরিক গঠনের কারণে তাঁকে শিশুর মতো দেখায়। গলার স্বরও অনেকটা শিশুর মতোই। তিনি ধর্মীয় বক্তা হিসেবে জনপ্রিয়। এই কারণে লোকজন তাঁকে ‘শিশুবক্তা’ বলে অভিহিত করে থাকেন। যদিও এই নাম নিয়ে তিনি নিজেও অনেক সময় আপত্তি করেছেন।
মোদিবিরোধী স্লোগান দিতে থাকা লোকজনকে পুলিশ বাধা দিলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সে সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।