বাংলাদেশে নতুন বৈশিষ্ট্যের নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকেরা। করোনার এই নতুন ধরনের সঙ্গে আফ্রিকার ভাইরাসের সাদৃশ্য আছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। আজ সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তাঁরা। এ সময় দ্রুততার সঙ্গে দেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে করোনার টিকা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সরকারের কাছ থেকে যথাযথ অর্থ বরাদ্দ এবং নীতি সহায়তা পেলে, ছয় মাসের মধ্যে দেশেই সব ধরনের করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বাজারে যতগুলো ভ্যাকসিনের নাম শুনেছেন আপনারা, প্রত্যেকটা ভ্যাকসিন আমরা ছয় মাসের মধ্যে করতে পারি। একটা অনুরোধ করব সরকারকে, ব্যবসার দিকে নজর না দিয়ে গবেষণার ওপর একটু নজর দেন।’

এদিকে, করোনার কিছু ভ্যারিঅ্যান্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, যাতে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষকেরা জানান, করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বদলাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে মারাত্মক মিউট্যান্টের বিকাশ করতে পারে।

গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মামুন মোস্তাকী বলেছেন, যে ভ্যাকসিন মার্কেটে আছে, এটা অধিকাংশ মিউটেশন কাভার করবে।

এ সময় জনগণের মধ্যে যাদের অ্যান্টিবডি কম আছে, তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।