টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ অ্যাপ নিষিদ্ধে হাইকোর্টে রিট
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/12/30/tiktok.jpg)
মোবাইলফোন অ্যাপস টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ বন্ধ ও নিষিদ্ধ করার আবেদন করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) আজ বুধবার এই রিট দায়ের করেন।
রিটে দেশের যুব ও তরুণ সমাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিগো লাইভ, টিকটক, লাইকি অ্যাপস বন্ধ বা নিষিদ্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে কেন অ্যাপগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হবে না মর্মে প্রার্থনা করা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিচালককে (আইজি) বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এসব অ্যাপের ব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করছে। নষ্ট হচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণ বা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। তরুণসমাজ অ্যাপসের মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায় এবং নিজেকে জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করে।’
রিটকারী আইনজীবী জানান, বিগো লাইভ আ্যপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক তরুণ। আ্যপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার অনুসারীদের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার করে। ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে ভারত ও পাকিস্তান এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে।’
মো. জে আর খান রবিন আরো বলেন, ‘টিকটক আ্যপের মাধ্যমে অনেক কিশোর-তরুণ উদ্ভট রঙে চুল রাঙিয়ে এবং ভিনদেশি অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছে, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। স্বল্পবসনা তরুণীরা টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিডিয়ো আপলোড করেছেন। উদ্বেগজনক যে এই টিকটক ভিডিয়োগুলোতে নেই কোনো শিক্ষনীয় বার্তা। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে। অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় থাকে। বিব্রতকর, অনৈতিক ও অশ্লীল ভিডিওগুলো পর্নোগ্রাফিকে উৎসাহিত করায় এরই মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।’
এই বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনজীবী রবিন গত ৮ অক্টোবর জনস্বার্থে একটি নোটিশ পাঠান। কিন্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই রিট করেছেন বলে জানান তিনি।