নওগাঁর মান্দায় দ্রুতগামী একটি বাসচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের চৌদ্দমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী থেকে নওগাঁগামী যাত্রীবাহী বাসচাপায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন আব্দুস সাত্তার (৬০) ও খোরশেদ আলম সরদার (৪৫)। নিহত আব্দুস সাত্তার মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিংগা গ্রামের এবং খোরশেদ আলম সরদার একই ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে আব্দুস সাত্তার ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন। দুর্ঘটনার পর ওই বাসটি দেলুয়াবাড়ি এলাকায় আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজশাহী থেকে নওগাঁগামী দোলন পরিবহণ নামে যাত্রীবাহী একটি বাস রাস্তা পারাপারের সময় পথচারী খোরশেদ সরদারকে চাপা দেয়। এ সময় রাস্তার অপর পাশে থাকা আব্দুস সাত্তারের ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় খোরশেদ সরদারকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আব্দুস সাত্তারের স্বজনরা জানান, তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। একটি চার্জারভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ভ্যানে কাপড় নিয়ে গ্রামে বিক্রি করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।

অন্যদিকে, নিহত খোরশেদ সরদারের চাচাতো ভাই সুরুত আলী জানান, তার ভাই খোরশেদ সরদার রাজশাহীর কেশরহাটে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। চৌদ্দমাইল মোড়ে রাস্তা পারাপারের সময় একটি বাস তাঁকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বাসচাপায় দুইজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি দেলুয়াবাড়ি এলাকায় আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়েরের পর নিহত দুজনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।