নারীদের ফেসবুক না দেখে ফ্রিল্যান্সিং করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/12/09/pm_0.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী জাগরণের মধ্য দিয়েই সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। নারী জাগরণের মধ্য দিয়েই ১৯৪১ সাল নাগাদ সেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য ডেলটা প্ল্যান করে দিলাম, যার ওপর ভিত্তি করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার সকালে ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার ও ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ প্রজেক্টের মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যেখানে উদ্যোক্তা একজন নারী এবং একজন পুরুষ। সেখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে দেশের নারী সমাজ। আর এর মাধ্যমে স্বল্প শিক্ষিত একজন নারীও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘কাজেই সারা দিন ঐ ফেসবুক না দেখে তারা যদি এই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়, ফ্রিলান্সিং করে তাহলে কিন্তু সেখানে বসে সে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। একটি প্রত্যন্ত ইউনিয়নে বসে কিছু শিক্ষা নিয়ে সে দেশে-বিদেশে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে। যেটা অনেক ছেলেমেয়ে করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার কম্পিউটার প্রযুক্তি শিক্ষা একেবারে জেলা এবং উপজেলা ভিত্তিক করে দিয়েছে। গ্রামে গ্রামে সুবিধার জন্য ‘তথ্য এপিএ’ সার্ভিস চালু করেছে এবং এর মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ, দেশের সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা এবং সংসদ উপনেতা এই চারজনই নারী। দুর্ভাগ্যের বিষয় আপনারা জানেন আমাদের সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরী কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তবে, এই শূন্যস্থান পূরণ আমরা একজন নারীকে দিয়েই করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাই যোগ্য (নারী/পুরুষ)। কাউকে আমি অযোগ্য বলছি না। কিন্তু আমাদের এই সমাজকে তো উৎসাহিত করতে হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য, সেটিই আমরা করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২২’ প্রদান করেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- রহিমা খাতুন, অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম, অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীন, ড. আফরোজা পারভিন ও নাসিমা বেগম।
পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।