পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিখোঁজের পাঁজদিন পর হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাগান থেকে লাবনী আক্তার (৬) নামের ওই শিশু মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর কালাইয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মৃধার নাতনি লাবনী আক্তার খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে লাবনীর মা সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর আজ দুপুরে কালাইয়া গ্রাম থেকে শিশুটির হাতের কবজি ও পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত লাবনী স্থানীয় কালাইয়া শিকদার বাড়ি ময়নুদ্দিন মদিনাতুল মনোয়ারা আরাবিয়া নূরানি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

শিশুর লাবনীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহত লাবনীর মা সোনিয়া বেগম জানান, তার মেয়ে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু সে ফিরে না আসায় তাকে অনেক খোজাঁখুঁজি করেন। তার ধারণা মেয়েকে কেউ অপহরণ করে হত্যা করেছে। যারা তার মেয়েকে হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির জানান, নিখোঁজের পাঁচ দিন পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত চলছে।