‘নির্বাচনে না গেলেও ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে বিএনপি’

নির্বাচনে না গেলেও ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহামেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেছেন, ‘নিশি রাতের নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচন নাও করে, তাহলেও ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া হবে। নিশি রাতের নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না।’
সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কার গণজাগরণের উদাহরণ টেনে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশের শাসকদলের এই অবস্থা হবে। জনতার আন্দোলন কখনোই ব্যর্থ হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ সাহসী মানুষ। তাদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, রক্ত দিয়েছি। প্রয়োজন হলে বিএনপির জিয়ার সৈনিকরা আবার রক্ত দেবে। আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
‘দেশ স্বাধীন হয়েছে ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফলে, জনযুদ্ধের ফলে’ উল্লেখ করে মেজর হাফিজ আরও বলেন, ‘বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করুক, একটি নিরপেক্ষ সরকার আসুক। এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।’
প্রতিবাদ সভায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ও শাহ নুরুল কবীর শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও ফকরউদ্দিন আহমদ বাচ্চু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ তায়্যেবুর রহমান হিরন প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম।
এ সময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহমেদ বুলু, এ কে এম মাহবুবুল আলম, রতন আকন্দ, শামীম আজাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আবুল ফাত্তাহ, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, মহিলা দলের পারভীন ও খালেদা আতিকসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও তাঁতীদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।