নেত্রকোনায় রঙিন কপি চাষে সফলতা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/03/28/netrokona-pic-tham.jpg)
নেত্রকোনার বারহাট্টায় এই প্রথম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ। ফলন ও বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে এলাকার কৃষকদের। খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এসে পরামর্শ নিচ্ছে কৃষকরা।
কৃষকের সফলতায় আকর্ষণীয় এ সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগামীতে জেলায় চাষ বৃদ্ধির জন্য চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। বারহাট্টা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সফল প্রান্তিক কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস ধান চাষের পাশাপাশি নিজের ৬০ শতাংশ জমিতে তিন বছর ধরে বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করে যাচ্ছেন। ধানের চেয়ে সবজি আবাদে লাভবান হওয়ায় তিনি সারা বছরই সবজি আবাদ করে থাকেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় জামালপুরে একটি কর্মশালায় অংশ নেন কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস। প্রশিক্ষণ শেষে সেখান থেকে বাহারি সবুজ, হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চারা সংগ্রহ করে গেল জানুয়ারি থেকে চাষ করে মার্চের প্রথম থেকে ফলন ফলিয়ে এ কপি বিক্রি করে যাচ্ছেন তিনি। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছে বাহারি সবুজ, হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি।
প্রতিটি কপি মাঠেই ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সন্তোষ বিশ্বাস। শুধু তাই নয় আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বেগুন, মোটরশুটি, গাজর, পেঁপে, কচুসহ নানান ধরনের শাকসবজি চাষ করে বছরে আয় করছেন দুই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/03/28/netrokona-pic.jpg 687w)
পরিবারের সহযোগিতায় সন্তোষ বিশ্বাসের এই সবজি চাষে ধানের চেয়ে শ্রম ও খরচ উভয়ই কম। সবজিটি আকর্ষণীয় হওয়ায় জেলা শহর ও উপজেলার উন্নয়ন মেলায় প্রদর্শিত হয় বাহারি রঙের এ ফুলকপি।
আগামীতে আরও ব্যাপক আকারে চাষ করার আগ্রহ জানান সন্তোষ বিশ্বাস। রসুলপুর গ্রামের আরেক কৃষক পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, বাহারি রঙের ফুলকপি এই প্রথম আমাদের গ্রামে চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চারা সংগ্রহ করে আগামী মৌসুমে আমরাও এ ফসল ফলানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এসে মানুষ দেখছে এ রঙিন কপি এবং সফল প্রান্তিক কৃষক সন্তোষ বিশ্বাসের পরামর্শ নিচ্ছে।
পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপির চারা রোপণ থেকে শুরু করে ফলন পর্যন্ত প্রতিনিয়ত মাঠে এসে পরামর্শ দিয়ে গেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। আগামীতে বারহাট্টা উপজেলার পাশাপাশি জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও ব্যাপক আকারে এ ফলন বৃদ্ধির কথা জানান বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান।