নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন সৌরভকে (৪০) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাহার মিয়া ও মো. হোসেন নামের আরো দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমজাদে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব হোসেন চর আমজাদ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। রাত ২টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাকির হোসেন জানান, সোহরাব হোসেনের নিজস্ব বুলডোজার মেশিন ছিল। তার মধ্যে একটি মেশিনের চালক চর আমজাদ গ্রামের বাহার মিয়া। শনিবার রাতে মেশিনের ভাড়ার হিসাব করতে বাহারের বাড়িতে যান সোহরাব। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১২ জনের কালো মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত বাহারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা সোহরাব, বাহার ও হোসেনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এর একপর্যায়ে মুখোশধারীরা সোহরাবকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে উঠানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এতে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই সোহরাবের মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, রাত ২টার দিকে চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত সোহরাবের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ কোম্পানীগঞ্জ থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রবিউল জানান, নিহত সোহরাব হোসেন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ছিল। তালিকাভুক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এর আগে তিনি আরো একবার পুলিশের হাতে আটক হলেও জামিনে বের হয়ে আসেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এর আগে সোহরাবের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করে। গতকাল রাতের ঘটনা তারই প্রতিফলন বলে ধারণা করা হচ্ছে।