পরকীয়ার কারণেই খুন হন যুবদল নেতা শাহজাহান

পরকীয়ার কারণেই খুন হন পাবনা জেলা যুবদলনেতা শাহজাহান আলী। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইব্রাহিম প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ মঙ্গলবার ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহত শাহজাহান আলী (৪০) পাবনা শহরের শালগাড়িয়া গোরস্থানপাড়ার বাসিন্দা। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পিবিআই পাবনার পুলিশ সুপার মো. ফজলে এলাহী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ইব্রাহিম তাঁর জবানবন্দিতে জানান, যুবদল নেতা শাহজাহানের সঙ্গে শহরের একই এলাকার এক নারীর (২৫) পরকীয়া ছিল। কয়েক দিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে ওই নারী বদলা নিতে শাহজাহানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এজন্য পেশাদার হত্যাকারী মো. ইব্রাহীম প্রামাণিকসহ সাত থেকে আটজনকে ভাড়া করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে শাহজাহান আলীকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁকে আটঘরিয়ায় ইব্রাহিমের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে আটঘরিয়া থানার গঙ্গারামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মো. কাশেমের বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দিয়ে খড়কুটা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে আসামি ইব্রাহীম প্রামাণিক ঢাকা এবং অন্য আসামিরা অন্যত্র পালিয়ে যায়।
পিবিআই পুলিশ সুপার মো. ফজলে এলাহী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরকীয়ার কারণেই যুবদলনেতা শাহজাহান আলীকে খুন করা হন। ওই নারী এবং ইব্রাহিমের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করা হয়। এরপর গত ১১ এপ্রিল সন্দেহভাজন ইব্রাহীম প্রামাণিককে ঢাকার সাভার থানার সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইব্রাহিম পাবনার আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আশরাফুল ইসলামের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সবুজ আলী জানান, নিহত যুবদল নেতা শাহজাহান আলী নিজে অবিবাহিত ছিলেন। তবে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর পরকীরার সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া তাদের মধ্যে টাকাপয়সার লেনদেনও ছিল। ঘটনার পর থেকে ওই নারী পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।