পাহাড়ি ঢলে উত্তাল সুরমা কুশিয়ারা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/12/pahari.jpg)
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে উত্তাল হয়ে ওঠেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী। জেলার নদীগুলোর সব পয়েন্টেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পিয়াইন, সারি ও ধলাই নদীতে পাহাড়ি ঢল নামায় গতকাল শনিবারই দুকুল উপচে প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে সিলেট জেলায়ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া সিলেট জেলায় বিপৎসীমার ওপরে উঠে এসেছে পিয়াইন, সারী ও ধলাই নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় জানিয়েছে, আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি প্রবাহ ছিল ১০ দশমিক ৮৯ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এ ছাড়া সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি দুপুর ১২টায় প্রবাহিত হয় ৯ দশমিক ৭৫ মিটার ওপর দিয়ে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। অর্থাৎ এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার দুপুরে ঢল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে সারি নদীর পানি। রোববার দুপুর ১২টায় এ নদীর পানি ১২ দশমিক ৪৬ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে।
কুশিয়ারা নদীর পানির উচ্চতা আমলশিদ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় উচ্চতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৫ মিটারে, শেওলা পয়েন্টে ১২ দশমিক ৩৭ মিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ৮ দশমিক ১৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি গতকালের ১৪ দশমিক ৮২ মিটার থেকে বেড়ে আজ দুপুরে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮৫ মিটার।
এই অবস্থায় সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। সুরমা নদীর পানি সিলেট নগরীতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সিলেটের জেলা প্রশাসন বন্যাপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেছে।