প্রসবের পর নারীর মৃত্যু, স্বজনদের হামলায় চিকিৎসক নিহত

সন্তান প্রসবের পর এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের হামলায় খুলনার রাইসা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রকীব খান নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় প্রসূতির।
চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটির (এফডিএসআর) মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন এনটিভি অনলাইনকে এই অভিযোগ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং পুলিশের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
ডা. আব্দুর রকীব খান বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছে এফডিএসআর।
এফডিএসআরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত রোববার বিকেলে সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর নবজাতক ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে মায়ের রক্তক্ষরণ হলে গতকাল সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল রাতে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
এরপর গতকাল রাতেই ওই নারীর স্বজনরা ডা. রকীবকে লাথি-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথার পেছনে জখম হয়। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ডা. রকীবের।
এফডিএসআরের মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে অভিযোগ না করে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা করে একজন চিকিৎসকের প্রাণনাশ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এফডিএসআরের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, চিকিৎসক সমাজ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’