ফেনী কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভিকটিমের বিয়ে

ধর্ষণের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে আদালতের নির্দেশে ফেনী জেলা কারাগারে এই প্রথম জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভিকটিমের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারাগারে আসামি বর ও কনেসহ দুই পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আজ সকালে মিষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনসহ আইনজীবীরা কারাগারের ফটকে হাজির হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানসহ কাজী আবদুর রহিম বিয়ে পড়ানোর জন্য আসেন। এ সময় ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ও এক লাখ উসুল ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। একপর্যায়ে মিষ্টিমুখ ও দুই পক্ষের লোকজন পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোলাকুলি করে। এই আদেশে খুশি স্বজনরা। তবে তাদের দাবি, কারামুক্ত হয়ে সংসারজীবনে পা রাখতে জিয়াকে আদালত যেন দ্রুত জামিন দেন।
মামলার সূত্রে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৭ মে জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জহিরুল ইসলাম জিয়া নামের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। এর পরের দিন ওই তরুণী নিজে থানায় হাজির হয়ে জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। একপর্যায় ২৯ মে অভিযুক্ত জিয়াকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
পরে অভিযুক্তের পরিবার জামিনে মুক্তি পেয়ে বিয়ে করার শর্তে আসামির জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করে। আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারা ফটকেই অভিযুক্ত আসামি এবং ভিকটিমের বিয়ের আয়োজনের জন্য জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিতায় আজ তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।