বাগেরহাটে পুলিশ হেফাজত থেকে আসামির পলায়ন

বাগেরহাটে হাফিজুর রহমান ওরফে শিপন (২৯) নামের এক আসামি কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। আজ রোববার বিকেলে বাগেরহাট হাজতখানার সামনে থেকে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর গ্রামে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ জানান, গত ১ মার্চ একটি চুরির মামলায় হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে মোংলা থানা পুলিশ। ওই চুরির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল মোংলা থানা পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে বাগেরহাট কোর্ট হাজতে ঢোকানোর সময় হাতকড়া খোলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। তাৎক্ষণিক তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া হাফিজুর রহমানের নামে বিভিন্ন আইনে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে হাজতি আসামিদের হাজির না করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জামিন শুনানিকালে ও মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে কারাগার থেকে হাজতি আসামিদের আদালতে হাজির করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জামিন শুনানিকালে ও মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করে কারাগারে রেখে জামিন শুনানি করতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেওয়া হলো।’ তবে, হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চ্যুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।