বেগম রোকেয়া দিবস আজ

বেগম রোকেয়া দিবস আজ বৃহস্পতিবার। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার, বুকলেট ও স্যুভেনির।
করোনা মহামারির এ সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দেশের পাঁচ জন নারী পাচ্ছেন ‘রোকেয়া পদক’।
বেগম রোকেয়া পদক-২০২১ পেতে যাওয়া নারীরা আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে এ সম্মাননা পদক নেবেন তাঁরা।
পাঁচ জনের মধ্যে নারী শিক্ষায় অবদানের ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলার অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যশোর জেলার অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরোণোত্তর), পল্লী উন্নয়নে অবদান রাখায় কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা ড. জিনাত হুদা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় মনোনীত হয়েছেন।
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শকে সামনে রেখে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয়।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোন চল ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তাঁর বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তাঁর ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।
বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো—মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ ও অবরোধ-বাসিনী। এই দিবসটি সরকারিভাবে পালিত একটি জাতীয় দিবস।