ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির টহল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক তাণ্ডবের ঘটনায় জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অস্ত্রসজ্জিত গাড়ি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যেরা। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেল স্টেশনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। রেল স্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুম ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সেখানে সমস্ত মালামাল একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। সিগন্যাল বক্স ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং জেলা পরিষদ, পৌর মুক্ত মঞ্চ, পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলে। এসব ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আশিক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সে শহরের কাউতলীর দাতিয়ারা গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। পরে বিক্ষুব্ধরা আশিকের মরদেহ নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।