ভালুকা ব্রিজে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলা গণপরিবহণে পুলিশের বাধা, দুর্ভোগে যাত্রীরা
সারা দেশে চলছে লকডাউন। দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাই বেড়েছে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলা গণপরিবহণ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ভালুকা ব্রিজে থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনা, মুক্তাগাছা ও শেরপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কয়েকশ বাসগুলো ভালুকা ব্রিজে থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে খালি করে আবার ঢাকার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে।
পরে দুর্ভোগের শিকার যাত্রীদের সেখান থেকে হেঁটে ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলা লোকাল বাসে করে চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, আগামীকাল থেকে ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন সফল করতে আজ প্রায় ১০০ যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আবার ঢাকার দিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
লকডাউন সফল করতে ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়
ভালুকায় পরবর্তী সর্বাত্মক লকডাউন মানতে ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা খাতুনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ইউএনও সালমা খাতুন বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ লকডাউন চলাকালে ঘর থেকে কম বের হয়। হাটবাজার সরকারি বিধি মোতাবেক বসবে। যদি কেউ লকডাউন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা রশিদ, ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলাম ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।