ভুক্তভোগী গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/06/03/gas_photo.jpg)
গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আবাসিক খাতে সবচেয়ে কম মূল্যবৃদ্ধি হলেও ভুক্তভোগী হচ্ছেন প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকেরা।
রোববার সব পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে।
আবাসিক খাতে এক চুলার গ্যাসের দাম প্রতি মাসে ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলার ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। চলতি মাসের বিল দেওয়ার সময় নতুন মূল্য তালিকায় বিল দিতে হবে, যা আগের চেয়ে যথাক্রমে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, গৃহস্থালিতে যাঁরা প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে ১২ দশমিক ৬০ টাকা দিতে হলেও এখন দিতে হবে ১৮ টাকা, যা ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকেরা সাধারণত ৪০-৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। আর, যাঁদের প্রিপেইড মিটার নেই, তাঁরা কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গ্যাস চুরি কমাতে। আমাদের এ সংক্রান্ত কিছু সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ আদেশে থাকবে। এবার আমরা প্রিপেইডবিহীন গ্রাহকদের গড় ব্যবহারের হার ৭৭ থেকে কমিয়ে ৬০ ঘনমিটার হিসেব করেছি।’
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক বলেন, ‘যাঁরা আবাসিক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন না, আমরা যদি তাদের বিল প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের সমান করতে পারতাম (৪০-৫০ ঘনমিটারে নামিয়ে আনতে পারতাম), তাহলে আমরা বুক ফুলিয়ে চলতে পারতাম। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। সেটা একবারে সম্ভব হয়নি, ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে।’