মোংলায় টানা বৃষ্টি, ৩০০ ঘের তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষিরা

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত আজ বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সার, কয়লা, ক্লিংকার, পাথর, গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ১৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের মালামাল ওঠানামার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বৃষ্টি কমলে পুনরায় কাজ শুরু হবে। কারণ বৃষ্টিতে সার ও ক্লিংকার পণ্য খালাস করা যায় না। পানি লাগলে এ সব পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে একটানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা পৌর শহরের পূর্ব কবরস্থানের কাজী সামছুল হক সড়ক, মিয়াপাড়া, মুন্সীপাড়াসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে ঢুকে পড়ছে ঘরবাড়িতে।
পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইউনুস আলী বলেন, বুধবার সকাল থেকেই পৌর মেয়র মো. জুলফিকার আলী ফোন করে বিভিন্ন এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগও নিয়েছেন।
এ ছাড়া বৃষ্টিতে এখানকার অনেক চিংড়ি ঘেরও তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ চিংড়ি ঘের তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।