ময়মনসিংহে পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

ময়মনসিংহে পুলিশি নির্যাতনে আলতাফ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ওই ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত আলতাফের স্বজনরা অভিযোগ করেন, আলতাফকে মুক্তাগাছা থানায় দুই দিন আটকে রেখে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চান আলতাফের স্বজনরা।
নিহত আলতাফের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের জামগড়া গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ফেরিওয়ালা।
নিহতের ভাতিজা রূপচান অভিযোগ করেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমার চাচা আলতাফকে মুক্তাগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়ের ও সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) হামিদ আটক করেন। পরে একটি জঙ্গলে নিয়ে চাচাকে মারধর করা হয়। তাঁকে থানায় নিয়ে আমার মোবাইল ফোনে কল দেন এসআই খায়ের। তিনি আমার চাচাকে মুক্ত করতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে টাকা না পেয়ে ২ মার্চ তাঁকে আদালতে চালান করেন।’
এদিকে, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন আলতাফ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান। এরপর সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেন স্বজনরা।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) বিপ্লব কুমার বলেছেন, ‘আলতাফ আলীর বিরুদ্ধে ডলার প্রতারণা ও কঙ্কাল চুরির অপরাধে নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার থানায় একটি ও মুক্তাগাছায় দুটি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ত্রিশাল উপজেলার হাফিজুল নামের এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে ডলার প্রতারণা মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ৫ মার্চ আলতাফ জামিনে মুক্ত হন। এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকার পর আজ (গতকাল) তিনি মারা যান।’
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বলেন, ‘আলতাফ আলী এর আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কংকালসহ ধরা পড়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পুলিশের টর্চারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নিহত আলতাফের স্বজনদের কাছে পুলিশের টাকা দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’