ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাসহ সাতজন গ্রেপ্তার, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

ময়মনসিংহে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত শাওনসহ সাত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরের পুরোহিতপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন গতকাল বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ইয়াসিন আরাফাত শাওনকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয় মহানগর যুবলীগ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইয়াসিন আরাফাত শাওন (৩৬) ও তাঁর ভাই মাসুদ পারভেজ (৩০), রায়হান আহমেদ রাজীব (২৮), মো. মানিক মিয়া (২৭), হৃদয় আহমদ রাজিব (১৮), মো. রাজিব (৩০) ও মো. বাপ্পি খান (৩৬)। ইয়াসিন আরাফাত শাওন ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের সদস্য। গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা যুবলীগের কর্মী ও শাওনের অনুসারী। তাঁরা সবাই শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক জানান, ইয়াসিন আরাফাত শাওন শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অবৈধ অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি ম্যাগাজিন, দুটি একনলা বন্দুক, অস্ত্র তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের সরঞ্জাম, টেলিস্কোপ, সাতটি রামদা, চারটি ছোরা, একটি চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মাদক চেরাচালান, ছিনতাই, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অস্ত্র ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম ইয়াসিন আরাফাত শাওনের (৩৬) দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় দল বহন করবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’
এদিকে, গতকাল শনিবার রাতে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আবদুল্লাহ ও সভাপতি মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া মহানগর যুবলীগের সদস্য ইয়াসিন আরাফাত শাওনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।