‘রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের জায়গা হবে না’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে আবারও নৈরাজ্য, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির নতুন করে প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে কোনো অশুভ চক্রকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেব না। রাজপথে তাদের জায়গা হবে না। খালেদার মুক্তির ফয়সালা কেবল আদালতে হবেই। কোনো ধরনের নৈরাজ্য হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করবে।’
আজ মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন আব্দুর রহমান।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘২০০১ সালের পরে অনেক নারকীয় তাণ্ডব বয়ে গেছে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের ওপর দিয়ে। তাদের বাড়িঘর ভেঙেছে, ভাইয়ের সামনে বোনের ইজ্জত লুটেছে। এমন নির্যাতন নেমে এসেছিলো যে, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী বিএনপির অত্যাচার থেকে রক্ষা পায়নি।’ তিনি বলেন, ‘নেত্রী যখন কারাগারে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা সেদিন গর্জে উঠেছিল, রাজপথ কাঁপিয়েছিল। সেদিন স্বৈরশাসককে তারা বাধ্য করেছিলে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে।’
আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে একমাত্র অপরিহার্য করে তোলার জন্য যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন কি না-জানতে চাইলে এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে সাড়া দেন। আব্দুর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলের এই নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। যতোই ষড়যন্ত্র হোক মোকাবেলা করেছি, ভবিষ্যতেও করব।’ এ সময় তৃনমূলে পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতৃত্ব আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সম্মেলনের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।