রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর ঘটনা আবারও বাড়ছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ১৫ জন। মৃত্যুর পাশাপাশি জেলায় শনাক্তের হারও বেড়েছে। গতকাল সোমবার ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯ জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতজন, উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতায় একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, নাটোরের পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নওগাঁর দুজন ও পাবনার একজন।

একই সময়ে করোনা ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৩০ জন। হাসপাতালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ৩৯২ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া ৪৭ জনের মধ্যে রয়েছে রাজশাহীর ১৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর পাঁচজন, পাবনার সাতজন, সিরাজগঞ্জের তিনজন, বগুড়ার একজন, চুয়াডাঙ্গার তিনজন ও মেহেরপুরের একজন।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে যে ৩৯২ জন ভর্তি রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই রাজশাহীর। করোনা ও উপসর্গে রাজশাহীর ১৭০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে এখানে। এ ছাড়া চিকিৎসা নিচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩২ জন, নাটোরের ৫৬ জন, নওগাঁর ৩৮ জন, পাবনার ৭১ জন, কুষ্টিয়ার আটজন, চুয়াডাঙ্গার ছয়জন, সিরাজগঞ্জের ছয়জন, মেহেরপুরের দুজন, বগুড়ার দুজন ও ঝিনাইদহের একজন।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে মারা গেছে আটজন। মৃতদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও ১০ জন নারী।

এদিকে, গতকাল সোমবার এক হাজার ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২৬ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিলো ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।