রিমান্ডে থাকা আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন : র্যাব
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/08/19/r.jpg)
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেছেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামিরা রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্তের কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেওয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের দেওয়া তথ্য আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।’
আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরো বলেন, ‘এই হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অত্যন্ত সতকর্তা, পেশাদারত্ব ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।’
‘মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আলামতসহ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কিছু নিয়ে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে’, যোগ করেন র্যাব কর্মকর্তা।
অন্যদিকে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার নয় আসামির মধ্যে যে দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়নি তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
টেকনাফ থানা থেকে সিসি টিভি ফুটেজ গায়েব হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের মিডিয়া পরিচালক আরো বলেন, ‘অঘটন ঘটলে যে কেউ এমন ঘটনা ঘটায়। সিসি টিভি ফুটেজ গায়েবও এমন ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি, তাও পেয়ে যাব।’
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এরপর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।