করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে প্রবাসী অধ্যুষিত মাদারীপুরের শিবচরকে লকডাউন ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে চলেছে।

এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা থেকেই মাদারীপুরের শিবচর পৌর বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ওয়ার্ড ও দুই ইউনিয়নের দুই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল থেকে এ বহরে যোগ হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট। বাজার, গ্রামসহ সব জায়গায় টহল দিচ্ছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা। 

এদিকে নিষেধাজ্ঞা না মানায় তিন দোকানিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওষুধ, কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া রাতেই সব দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। এ উপজেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বাজারগুলোও জনশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রায় আড়াইশ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২৭০ জন, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে তিনজন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে তিনজন। ঢাকার হাসপাতালসহ অন্যত্র আইসোলেশনে রয়েছে শিবচরের একই পরিবারের আট সদস্য।

সম্প্রতি জেলার শিবচর উপজেলায় সাড়ে ৬০০ প্রবাসী ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে জেলায় সাড়ে তিন হাজার প্রবাসী প্রবেশ করেছেন।

ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি নূর-ই-আলম মিনা বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিবচর উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জনসাধারণের বিশেষ প্রয়োজন হলে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পুলিশ তাদের সহায়তা করবে।’

এদিকে মাদারীপুরের চার উপজেলা, চার পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে একটি সেলও গঠন করা হয়েছে।

পাশাপাশি মাদারীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে প্রশাসন।