শখের ভেড়ার খামারে স্বপ্নপূরণ নাসিরের
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/30/sheep-001.jpg)
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ভেড়ার খামার করে স্বপপূরণের চেষ্টা করছেন হাজি মো. নাসির মাহমুদ। তিনি শখের বশে ৫০টি দেশি প্রজাতির ভেড়া কিনে খামার শুরু করেন। উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কালারায়ের চর গ্রামে শুরু করেন এ ভেড়া পালন। সময়ের ব্যবধানে খামারে এখন ১২৭টি ভেড়া ও সাতটি ছাগল।
নাসির মাহমুদ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মদনখালী গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকার বোরকা ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে বিশাল ভেড়ার পাল ঘাস খাচ্ছে। আর ভেড়াগুলার দেখাশানা করছেন একটি রাখাল। আবার কিছু মা-ভেড়ার সঙ্গে রয়েছে শিশুছানা। তারাও এসেছে মায়ের সঙ্গে মাঠে।
উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কালায়েরচর গ্রামের এস এম কাশেমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে খামার করেছেন মো. নাসির মাহমুদ। দুই একর ৫০ শতাংশ জায়গায় তিনটি টিনের ঘর তৈরি করে পাঁচ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ২০২০ সালর ২৮ আগস্ট ৫০টি ভেড়া দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর খামার ১২৭টি ভেড়া, সাতটি ছাগল রয়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/30/sheep-02.jpg)
ভেড়ার খামারি মো.নাসির মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম আমি শ্রীনগের ভেড়ার খামারটি গড়ে তুলি। কিন্তু এলাকাবাসীর কারণে এখন আমি সিরাজদীখানে এসে খামারটি পরিচালনা করছি। কিন্তু এখানেও মানুষের যন্ত্রণা। খামারটি আমার বড় শখের। দেশে ঘনঘন লকডাউন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেশির ভাগ সময় বন্ধ রাখতে হয়। সংসারে উপার্জনের আশায় ব্যবসার পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি আয়ের চিন্তাভাবনা করে খামারটি গড়ে তুলি। এখানকার মানুষ অনেক যন্ত্রণা করে। মানুষ ভেড়া পালকে অন্যভাবে দেখে। আমার খুবই অসুবিধা হয়। তারপরও আমার শখের খামার এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করছি। কিন্তু চিকিৎসা এবং ওষুধের অভাবে ভেড়ার অনেকগুলো বাচ্চা মারা গেছে। সরকারের সহযোগিতা চাই, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতা চাই। আমার খামারটি আরও অনক দূর নিয়ে যেতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/30/sheep-003.jpg)
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী বলেন, ‘ভেড়া পালনে অতি তাড়াতাড়ি খামারি অনেক লাভবান হন। সে ক্ষেত্রে ভেড়া পালন এগিয়ে আসতে হবে বেকার যুবকদের। খামারি যেন খামার এগিয়ে নিতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি আমরা। খামারিরা আমাদের কাছে এলে গুরুত্বসহকার দেখা হবে। আর কালারায়ের চর গ্রামে যে খামারটি গড় উঠেছে, তারা যদি আমাদের কাছে আসেন, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’