বাগেরহাট-৪ আসনের (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) উপনির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে নিবিঘ্নে ভোট দিতে পারে তার জন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এদিকে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকার ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন ও এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটানিং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী জানান, বাগেরহাট-৪ আসনের অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ভোট নির্বিঘ্নে করতে ১২ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, র‌্যাবের ১০টি টিম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এরইমধ্যে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে।

নির্বাচনে ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।  এই আসনের ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট ব্যাক্স, সিলসহ সব সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন আনসার সদস্য থাকবে। নির্বিঘ্নে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে আহ্বান জানান ওই কর্মকর্তা।

গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান ঋণ ও করখেলাপী হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।