সাতক্ষীরায় জনি হত্যা ও লাশ গুম : তিন পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে মামলা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/17/satkhira-news-pic.jpg)
সাতক্ষীরায় হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনিকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগ এনে সদর থানার সাবেক দুই ওসি ও এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিখোঁজ জনির বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সদর থানার সাবেক ওসি এমদাদ শেখ ও ফিরোজ মোল্লা এবং এসআই হিমেলকে।
মামলায় জনির বাবা অভিযোগ করেন ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট তার ছেলে হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনি রাত ৯টায় শহরের লাবনী মোড়ে ওষুধ কিনতে আসেন। এ সময় সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হিমেল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে লকআপের মধ্যে থাকা জনির সঙ্গে কথা বলেন তিনি ও স্ত্রী জেসমিন নাহার রেশমা। পরপর দুদিন সাক্ষাৎ এবং তাকে খাবারও দেন তারা। তার মুক্তি প্রসঙ্গে জানতে গেলে ওসি এমদাদ ও এসআই হিমেল তার কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন এবং বলেন জনি আল্লাহর দলের সদস্য ও জঙ্গি। তারা তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রও চান।
শেখ আব্দুর রাশেদ মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ৮ আগস্ট ফের জনির সঙ্গে দেখা করতে থানায় গেলে পুলিশ জানায় সে কোথায় তা তাদের জানা নেই। বলা হয় তারা জনিকে গ্রেপ্তার করেনি। তখন বিষয়টি তিনি তৎকালীন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে জানান। পরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার স্ত্রী জেসমিন নাহার স্বামীর সন্ধান দাবি করেন।
জনির বাবা মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনার পর উচ্চ আদালতে পরিবারের পক্ষ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানায় জিডি করতে গেলে ওসি ফিরোজ মোল্লা তা গ্রহণ করেননি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে হাইকোর্ট সাতক্ষীরা থানার সাবেক দুই ওসি এমদাদ শেখ ও ফিরোজ মোল্লা এবং এসআই হিমেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বাদীপক্ষকে ফৌজদারি মামলা করার আদেশ দেন।
শেখ আব্দুর রাশেদ মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে ডা. মোখলেসুর রহমান জনিকে পুলিশ অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করেছে। তিনি এর সঙ্গে জড়িত সাবেক ওসি এমদাদ শেখ, সাবেক ওসি ফিরোজ মোল্লা এবং সাবেক এসআই হিমেলের বিচার দাবি করেন।
মামলাটি পরিচালনা করেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। তারা জানান, এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার আদেশ দেবেন আদালত।